উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করা মেঘের দল রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে হালকা বৃষ্টিও ঝরেছে। এতে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। পূর্বাভাস বলছে, আগামীকাল বুধবারও সারা দেশের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, সারা দেশে মেঘ–বৃষ্টি ও রোদের লুকোচুরি আরও কয়েক দিন চলবে। আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকবে। ফলে দিনে শীতের অনুভূতি একটু বাড়তে পারে। তবে মেঘের কারণে ঠান্ডা বাতাস আসা কমে যাবে। এতে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, মেঘ–বৃষ্টি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। মেঘের দল এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের আকাশসীমা পেরিয়ে চলে যাবে। এরপর সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা দ্রুত কমে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। তবে ওই শৈত্যপ্রবাহ মূলত উত্তর–পশ্চিমাঞ্চল এবং মৌলভীবাজার জেলায় সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায়ও এ সময়ে শীত বাড়বে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল বুধবারের মধ্যে দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। তবে এ বৃষ্টির পরিমাণ খুবই কম থাকবে। বৃষ্টির সঙ্গে আসা মেঘের কারণে দিনের তাপমাত্রা কমবে। বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর শীত বাড়বে।
আজ মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়—১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমে ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বরাবরের মতো ছিল কক্সবাজারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে কিছুটা বেশি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।